১. হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ রাসূল সা. নবী হিসাবে যা
কিছু বলেছেন, করেছেন এবং
সম্মতি ও সমর্থন দিয়েছেন তা-ই হাদীস।
২. ব্যাপক অর্থে সাহাবী ও তাবিয়ীদের কথা ও সম্মতিকে কি বলে?
উত্তরঃ হাদীস।
৩. ইলমে হাদীসের পরিভাষায় সাহাবী এবং তাবেয়ীদের কথা এবং সম্মতি সূচক
হাদীস সমূহকে কি বলে?
উত্তরঃ আছার।
৪. সুন্নাহ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ কর্মপন্থা,
কর্মপদ্ধতি,
কর্মনীতি ও চলার পথ।
৫. উসুলে হাদীসের পরিভাষায় রাসূল সা. এর অনুসৃত কর্মনীতিকে কি বলে?
উত্তরঃ সুন্নাহ।
৬. হাদীস শাস্ত্রে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সা. কে কি বুঝানো হয়?
উত্তরঃ আন নাবী ও রাসূলুল্লাহ।
৭. সিলেবাসের হাদীস গ্রন্থের আলোকে মুহাম্মদ সা. কত সালে মক্কার কোন বংশে
জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ৫৭১ সালে কুরাইশ বংশে।
৮. রাসূলুল্লাহ সা. কত বছর বয়সে হেরা গুহায় নাবুয়াত লাভ করেন?
হেরা গুহা কোন পাহাড়ে অবস্থিত?
উত্তরঃ ৪০ বছর বয়সে,
জাবালে নুর।
৯. সর্বমোট কত বৎসর যাবত রাসূল সা. প্রতি ওহী নাযিল হতে থাকে?
উত্তরঃ ২৩ বৎসর।
১০. রাসূল সা. যখন ইনতিকাল করেন, তখন তার বয়স কত ছিল?
উত্তরঃ ৬৩ বৎসর।
১১. কুরআন নাযিল হয়েছে কার প্রতি?
উত্তরঃ নবী মুহাম্মদ সা এর প্রতি।
১২. হাদীস শাস্ত্রে সাহাবী বলা হয় কাদেরকে?
উত্তরঃ যারা রাসূল সা.কে ঈমান
আনার পর কমপক্ষে একবার দেখেছে এবং হাদীস বর্ণনা করেছে এবং ঈমানে সাথে মৃত্যু বরণ
করেছে।
১৩. যে সব ঈমানদার লোক সাহাবীদের নিকট থেকে হাদীস শিক্ষা করেছেন
বা কমপক্ষে একজন সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছেন, তাদেরকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ তাবেয়ী।
১৪. তাবে’ তাবিয়ী কাদেরকে বলা হয়?
উত্তরঃ যারা তাবিয়ীদের নিকট থেকে
হাদীস শিক্ষা করেছেন।
১৫. আমরা জানি হাদীসের বর্ণনাকারীকে বলে রাবী। কিন্তু রাবীর
বর্ণনাকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ রেওয়ায়েত বা হাদীস।
১৬. যারা হাদীস চর্চা করেন, হাদীস শিক্ষা দেন, হাদীসের সনদ-মতন, বিশুদ্ধতা-অশুদ্ধতা এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের উপর গভীর
পান্ডিত্য রাখেন, তাদের কি
বলা হয়?
উত্তরঃ মুহাদ্দিস।
১৭. হাফেজে হাদীস কারা?
উত্তরঃ সনদ ও মতনের বিস্তারিত
বিবরণ সহ এক লক্ষ হাদীস আয়ত্ব করতে পেরেছেন এমন ব্যক্তি।
১৮. সিহাহ সিত্তাহ মানে কি?
উত্তরঃ ছয় খানা সহীহ হাদীস
গ্রন্থ।
১৯. হুজ্জতে হাদীস কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ সনদ ও মতনের বিস্তারিত
বিবরণ সহ যিনি তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্ব করতে পেরেছেন।
২০. সিহাহ সিত্তার হাদীস গ্রন্থ সমূহের নাম কি কি?
উত্তরঃ ১. সহীহ বুখারী। ২. সহীহ
মুসলিম। ৩. জামে তিরমিযি। ৪. সুনানে আবু দাউদ। ৫. সুনানে নাসায়ী। ৬. সুনানে ইবনে
মাযাহ।
২১. সংগা গত ভাবে হাদীস কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ৩প্রকার। ১. ক্বাওলী। ২.
ফেলী। ৩. তাক্বরিরী।
২২. বর্ণনাগত ভাবে হাদীস কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২প্রকার। ১. খবরে
মুতাওয়াতির। ২. খবরে আহাদ।
২৩. বর্ণনাকারীর হিসাব অনুযায়ী যে হাদীসকে খবরে ওয়াহিদ বলা হয় তা
কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তিন প্রকার। ১. মাশহুর। ২.
আযীয। ৩. গরীব।
২৪. মারফু হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীর
ধারাবাহিকতা রাসূল সা. পর্যন্ত পৌছেছে।
২৫. মওকুফ হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের
ধারাবাহিকতা সাহাবী পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে তথা রাসূল সা. পর্যন্ত পৌছেনি।
২৬. মাকতু হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের
ধারাবাহিকতা তাবেয়ী পর্যন্ত পৌছেছে।
২৭. মুত্তাসিল হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যে
হাদীসে বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে, কোন পর্য্যায়েই বর্ণনাকারী উহ্য থাকেনি।
২৮. হাদীসে মুনকাতি কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের
ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন নয়, কোন এক
পর্যায়ে কোন বর্ণনাকারী উহ্য রয়েছে।
২৯. হাদীসে মুয়াল্লাক কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের সনদের প্রথম
থেকে বর্ননাকারী উহ্য হয়ে যায় কিংবা যার গোটা সনদ উহ্য থাকে।
৩০. মুদাল কি?
উত্তরঃ এমন হাদীস যাতে ধারাবাহিক
ভাবে দুই বা ততোধিক বর্ণনাকারী উহ্য থাকে।
৩১. হাদীসে মুরসাল কি?
উত্তরঃ এমন হাদীস যার বর্ণনা
সুত্রে তাবেয়ী আর রাসূল সা. এর মাঝখানে সাহাবীর নাম উহ্য হয়ে যায়।
৩২. শায কি?
উত্তরঃ শায এমন এক হাদীস যার
বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। কিন্তু তার বর্ণিত হাদীস তার চেয়েও বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী
বর্ণিত হাদীসের বিপরীত।
৩৩. মুয়াল্লাল কি?
উত্তরঃ এমন হাদীস,
যার সনদে একটি সুক্ষè ত্রæটি থাকে-যা কেবল হাদীস বিশারদরাই পরখ করতে পারেন।
৩৪. কোন কোন বৈশিষ্ট পাওয়া গেলে কোন হাদীসকে সহীহ হাদীস বলা হবে?
উত্তরঃ ১. মুত্তাসিল সনদ। ২.
সেক্বাহ বর্ণনাকারী। ৩. স্বচ্ছ স্মরণশক্তি। ৪. শায নয়। ৫. মুয়াল্লাল নয়।
৩৫. কোন হাদীসকে হাসান বলা হয়?
উত্তরঃ যে হাদীসের ক্ষেত্রে
স্বচ্চ স্মরণশক্তি ছাড়া সহীহ হাদিসের সমস্ত বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান।
৩৬. জয়ীফ হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ হাদীস সহীহ হওয়ার জন্য যে
সব বৈশিষ্ট থাকা প্রয়োজন তাতে যদি কোন ত্রæটি থাকে, তাহলে সে হাদীসকে জয়ীফ হাদীস বলা হয়।
৩৭. হাদীসে মওদু এর আরেক নাম কি?
উত্তরঃ মনগড়া হাদীস।
৩৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. কে ছিলেন?
তার বর্ণিত হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর
রা. এর পুত্র। বর্ণিত হাদীস-১৬৩০
৩৯. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. কে ছিলেন?
তার বর্ণিত হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর চাচা হযরত
আব্বাস রা. এর পুত্র। বর্ণিত হাদীস-২৬৬০
৪০. হযরত আয়েশা রা. কত বছর বয়সে ইনতিকাল করেন,
তার বর্ণিত হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৬৮ বছর বয়সে। বর্ণিত
হাদীস-২২১০
৪১. হযরত আবু দারদা রা. এর নিকট একটি বাগান ছিল। উনি বাগানটি কি
করেছিলেন?
উত্তরঃ আল্লাহর রাস্তায় দান
করেছিলেন।
৪২. হাদীসে রাসূলে তাওহীদ রিসালাত ও আখেরাত বইয়ে মোট কতজন সাহাবীর
বর্ণনা সংকলিত হয়েছে?
উত্তরঃ ১৮জন।
৪৩. মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ইনতিকাল করেন, রাসূলের এমন একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী-যাকে ইয়ামেনের শাসনকর্তা
নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি কে?
উত্তরঃ মুয়ায ইবনে যাবাল রা.
৪৪. এমন একজন সাহাবী,যিনি রাসূলের একটি গোপন প্রয়োজনের বিষয় নিজ মা থেকে
পর্যন্ত গোপন রেখেছিলেন। তিনি কে?
উত্তরঃ হযরত আনাস বিন মালিক রা.
৪৫. এমন একজন সাহাবী যিনি রাসূলের সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ণনা
করেছেন। তিনি তার আসল নামে পরিচিত নন। পরিচিত রাসূল প্রদত্ত একটি নামে। প্রশ্ন
হলো-তার আসল নামকি? তার বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ আব্দুর রাহমান। বর্ণিত
হাদীস-৫৩৭৪
৪৬. রাসূল সা. এমন একজন সাহাবী যিনি মনে করতেন যে,
প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ কারো কাছে
থাকা জায়েয নয়। এই ভিন্নমত পোষনের জন্য শেষ জীবনে তাঁকে নির্বাসনে থাকতে হয়। তিনি
কে?
উত্তরঃ হযরত আবু যর গিফারী রা.
৪৭. রাসূলের এমন এক সাহাবী যিনি অবিরাম রোযা রাখতেন,
বিনিদ্র রজনী জেগে নামায পড়তেন,
প্রতি রাতে কুরআন খতম করতেন। রাসূলের
নিকট তার খবর দিলে রাসূল তাকে শরীর ও স্ত্রীর অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ
দেন। কে সেই সাহাবী?
উত্তরঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর
রা.
৪৮. পিতা অনেকগুলো ছোট ছোট সন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করার কারণে একজন
সাহাবী কুমারী মহিলা বিবাহ না করে বিধবা মহিলা বিবাহ করেন। তিনি কে?
উত্তরঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা.
৪৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. এর আসল নাম কি ছিল? তিনি
রাসূলের কতটি হাদীস বর্ণনা করেন?
উত্তরঃ সাআদ ইবনে মালিক। তার
বর্ণিত হাদীস-১০৭০
৫০. যেসব হাদীস গ্রন্থ থেকে হাদীসে রাসূলে তাওহীদ রেসালাত ও আখেরাত
বইট সংকলিত হয়েছে, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সহীহ আল বুখারী। ২.
সহীহ মুসলিম। ৩. সুনানে আবু দাউদ। ৪. জামে তিরমিযি। ৫. সুনানে নাসায়ী। ৬. সুনানে
ইবনে মাযাহ। ৭. ম্আুত্তা ইমাম মালিক। ৮. মুসনাদে আহমদ। ৯. মিশকাতুল মাসাবিহ। ১০.
তারগীব ও তারহীব।
৫১. তোমাদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলবেন এবং দোভাষীও থাকবেনা। কে
কথা বলবেন, কখন বলবেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা,
আখেরাতে।
৫২. নবী সা. বিপদকালে কিসের যিকির করতেন?
উত্তরঃ তাওহীদের যিকির।
৫৩. বান্দাহ যখন আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়,
আমি তার দিকে এক বাহু অগ্রসর হই। সে যখন
আমার দিকে গজ এগিয়ে আসে আমি তখন তার দিকে দৌড়ে যাই। এ উক্তিটি কার?
উত্তরঃ আল্লাহর।
৫৪. হাদীসের শেষাংশ হলো, সে নিজের ঈমানকে পূর্ণতা দান করলো। বলুন কয়টি আমলের
মাধ্যমে এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ৪টি আমল। ১. আল্লাহর জন্য
ভালবাসা। ২. আল্লাহর জন্য শত্রæতা। ৩. আল্লাহর জন্য দান। ৪. আল্লাহর জন্য দান না করা।
৫৫. মুমিনরা আল্লাহ তায়ালাকে কি বলে জানে?
উত্তরঃ এক লা-শারীক বলে।
৫৬. হযরত আবু যর বর্ণিত হাদীসে কুদসী অনুযায়ী সর্বোত্তম আমল
কোনটি?
উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্ঠির জন্য
কারো সাথে বন্ধুত্ব বা শত্রæতা পোষণ।
৫৭. হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত হাদীসের বিবরণ অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালার
কয়টি নাম রয়েছে? সংখ্যাটি
হাদীসে ভাষায় অনুবাদ বলুন।
উত্তরঃ এক কম একশত।
৫৮. হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত হাদীসের বিবরণ অনুযায়ী কি জিনিস আয়ত্ব
ও হিফাজত করলে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে?
উত্তরঃ নিরান্নব্বই নাম আয়ত্ব ও
হিফাজত করলে।
৫৯. সিলেবাসের হাদীস গ্রন্থ অনুযায়ী বলুন যে,
কোন জিনিসটি বেহেশতের চাবি?
উত্তরঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই”-এ কথার সাক্ষ্য দেয়া।
৬০. الله لا إله إلا هو الحي القيوم কুরআনের এই আয়াতাংশ কোন সূরার কত
নম্বর আয়াত। এই আয়াতের একটি প্রসিদ্ধ নাম রয়েছে, তা কি?
উত্তরঃ এটি সুরা বাকারার ২৫৫নং আয়াত। এর নাম আয়াতুল কুরসী।
৬১. মুয়াজ বিন জাবালকে কোন দেশের শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ ইয়ামানের।
৬২. দ্বীন ইসলামের দাওয়াতী কাজের সুচনা করতে হয় কি দিয়ে?
উত্তরঃ তাওহীদে বিশ্বাসের প্রতি
আহবান জানিয়ে।
৬৩. সূরা ইউসুফের ৪০ নম্বর আয়াত নির্দেশ দানের সার্বভৌম ক্ষমতা
আল্লাহ ছাড়া আর কারো নেই। সেখানে আল্লাহ
কি নির্দেশ দিচ্ছেন।
উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া আর কারো
আনুগত্য করো না ও গোলামী করো না।
৬৪. আল্লাহর সাথে শরীক করো না, কারণ নিঃসন্দেহে শিরক অতি বড় যুলুম।- একথাটি কোথায় বলা
হয়েছে, সম্পূর্ণ
তথ্য দিন।
উত্তরঃ কুরআনের সূরা লোকমানে ১৩
নম্বর আয়াতে।
৬৫. হাদীসে রাসূলে তাওহীদ রিসালাত ও আখেরাত বইতে কুরআনের বিভিন্ন
উদ্বৃতি উপস্থাপনের পর তাওহীদ বিষয়ে মোট কয়টি সার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ৩২টি।
৬৬. আল্লাহ তায়ালা যে কোন পাপ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করতে পারবেন,
কিন্তু একটি পাপ ক্ষমা করবেন না। পাপটি
কি?
উত্তরঃ আল্লাহর সাথে শিরক করা।
৬৭. সর্ব প্রথম যখন কেবল আল্লাহই ছিলেন আর কিছু ছিল না। তখন তার
আরশ কিসের উপর ছিল?
উত্তরঃ পানির উপর।
৬৮. রাসূল সা. এর প্রতি যখন প্রথম তখন রাসূল ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
বিষয়টা হযরত খাদিজা রা. এর নিকট বললে তিনি রাসূল সা.কে নিয়ে একজন ব্যক্তির সাথে
দেখা করেন। ঐ ব্যক্তির নাম কি?
উত্তরঃ ওরাকা ইবনে নওলফ।
৬৯. প্রথম ওহী নাযিলের পর কিছু কাল ওহী নাযিল বন্ধ থাকে। অতঃপর
আবার কোন সূরা নাযিলের মাধ্যমে ওহী নাযিল শুরু হয়?
উত্তরঃ সূরা মুদ্দাস্সির।
৭০. মুহাম্মদ সা. এর এর রিসালাতের সূচনা হয় তার কত বছর বয়সে?
উত্তরঃ ৪০ বছর।
৭১. মুহাম্মদ সা. এর নাবুয়াতের সুচনা কোথা হতে শুরু হয়?
উত্তরঃ হেরা গুহা হতে।
৭২. একজন মনিষী-যিনি ছিলেন পূর্ববর্তী কিতাবের পন্ডিত। তিনি
ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন যে, মুহাম্মদ সা.কে তার জাতির লোকের তাকে স্বদেশ ত্যাগে বাধ্য
করবে। সেই মনিষীর নাম কি?
উত্তরঃ ওরাকা ইবনে নওফল।
৭৩. হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. থেকে বর্ণিত যে,
ইসলাম ৫টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। সেই
৫টি জিনিস কি কি?
উত্তরঃ ১. সাক্ষ্য দেয়া। ২. সালাত
কায়েম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হজ্জ করা। ৫. রমজানের রোযা রাখা
৭৪. গোটা সমাজের অর্থনৈতিক ব্যবসথার চাবিকাঠি বাতিল পন্থীদের হাতে
থাকে, না মুমিনদের
হাতে থাকে?
উত্তরঃ বাতিল পন্থীদের হাতে থাকে।
৭৫. কিয়ামতের দৃশ্য নিজ চোখে দেখার মতো করে দেখতে হলে রাসূল সা.
৩টি সূরা অধ্যয়নের নসিহত করেছেন। সূরা ৩টি কি কি?
উত্তরঃ ১. আত তাকভীর। ২. আল
ইনফিতার। ৩. আল ইনশিক্বাক।
৭৬. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত-সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর
কিতাব। এর পর তিনি সর্বোত্তম চরিত্র বলতে কার চরিত্রকে উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ মুহাম্মদ সা. এর চরিত্র।
৭৭. তিনটি কারণে আরেকজন নবী প্রেরণের প্রয়োজন হয়। যে কোন ২টি বলুন।
উত্তরঃ ১. পূর্ববর্তী নবীর শিক্ষা
বিলুপ্ত হয়ে গেলে। ২. পূর্ববর্তী নবীর শিক্ষা অপূর্ণাঙ্গ হয়ে থাকলে। ৩. পূর্ববর্তী
নবীর শিক্ষা কোন বিশেষ জাতির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে।
৭৮. ৫টি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বনি আদম কিয়ামাতের দিন পা নাড়াতে
পারবেনা। এগুলো কি কি?
উত্তরঃ ১. জীবনকাল কোন কোন কাজে
অতিবাহিত করেছে। ২. যৌবনের শক্তি কোন কাজে ব্যয় করেছে। ৩. অর্থ-সম্পদ,
অর্থ-কড়ি কোথা থেকে উপার্জন করেছে। ৪.
কোথায় কোন কাজে তা ব্যয় করেছে। ৫. দ্বীনের জ্ঞান যা অর্জন করেছে,
সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।
৭৯. হাশরের তিনটি ভয়াবহ মানযিল কি কি?
উত্তরঃ ১. মীযানের কাছে। ২. সে
সময় যখন আমলনামা হাতে দেয়া হবে। ৩. যখন জাহান্নামের উপর দিয়ে পুলসিরাত পার হতে
হবে।
৮০. নিজের রেকর্ড নিজেই পড়ো, আজ তোমার হিসাব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট-উপরোক্ত
বক্তব্য কুরআনের কোন সূরার কত নম্বর আয়াতের অর্থ?
উত্তরঃ সূরা ইসরা বা বনি ইসরাঈল,
আয়াত ১৪
৮০. সনদ ও মতন কাকে বলে?
উত্তরঃ হাদীসে রাবীর নামরে
ধারাবাহকি তালকিাকে “সনদ”
বলএেবং হাদীসরে মূল অংশকে বলে “মতন”।
৮১. সাহাবীদরে মধ্যে র্সবশষে মৃত্যু বরন করেন কে? মৃত্যুকালে তাঁর
বয়স কত ছলি?
উত্তরঃ হযরত আনাস (রাঃ);
১০৩ বছর।
৮২. “আসমানেও
তিনি এক ইলাহ আর যমিনেও তিনি এক ইলাহ” উক্তিটি পবত্রি কুরআনরে কোথায় রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আল যুখরুফ এর ৮৪ আয়াতে।
৮৩. মানুষ কি কি কাজ করলে রবরে সাক্ষাৎ পেতে পারে?
উত্তরঃ ভাল ও নেক আমল করা এবং
দাসত্ব ও আনুগত্যের ব্যাপারে অপর কাউকে শরীক না করা।
৮৪. রাসুল এবং উম্মত দু’ভাগে বিভক্ত। তা কি কি?
উত্তরঃ (১) উম্মতে মুসলিমা (২)
উম্মতে দাওয়াত।
৮৫. কোন কথা বললে আল্লাহ্ কষ্ট পান?
উত্তরঃ সময়কে গালি দিলে আল্লাহ্
কষ্ট পান। কারণ সময়েন আর্বতন তিনি করে থাকেন।
৮৬. وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا– কোন সূরার
কত নং আয়াত?
উত্তরঃ সূরা আল আনকাবুত, আয়াত ৬৯।
৮৭. রাসুল (সাঃ) আমাদের মতই মানুষ, তবে আমাদের সাথে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ রাসুল (সাঃ) এর নিকট অহি
নাযিল হয়, কিন্তু আমাদের নিকট অহি নাযিল হয়না।
৮৮. রাসুল (সাঃ) কে প্রেরণের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ ৩টি। (১) মানুষকে আল্লাহ্র
আয়াত শুনানো। (২) তাদেরকে পরিশুদ্ধ করা এবং (৩) কিতাব ও হিকমাহর প্রশিক্ষণ দান
করা।
উত্তরঃ রাসুল (সাঃ) কে ভালবাসলে
কোন জিনিস মানুষের দিকে প্লাবনের চাইতেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসে?
উত্তরঃ দারদ্রিতা।
0 Comments